Justice of the Dawn.

Justice of the Dawn.

UPDATED VERSION : JUSTICE OF THE DAWN ! ভোরবেলার বিচার : --- ডাঃ বিভাস চক্রবর্তী। ---- A dawn of remembrance, 23rd April 2019. আজ ভোরে যে লুকিয়ে ছিল কালকে রাতের শক্তি, রোদ্দুরে তে আর্কস্নানের সাথে মোদের মুক্তি। আদিত্যটা জানিয়ে দিলো মুহূর্তটা দামী, জ্যোতিচ্ছটা দেখতে পেলাম, অবাক হলাম আমি। দূর আকাশে বিভাস মাঝে ঈগল পাখি ওড়ে, মনে হলো নতুন কোনো বার্তা নিয়ে ঘোরে। মনের মাঝে ঘুমিয়ে ছিল বিশেষ কোনো স্মৃতি, সময় এখন আনিয়ে দিলো তার অশেষ পরাগতি। কব্জি গুলোয় টান পড়লো হাত ঘড়িতে যেথা, ক্ষনের আওয়াজ চেঁচিয়ে বলে কেমন কারা-বন্দি এটা ? সময় তুমি নষ্ট করো নিজের সময় যেমন, লোহার খাঁচায় পাখি যেমন, কালের খাঁচা তেমন। পায়ের চেটোয় বড্ড ব্যাথা ছিল আমার আগে, কিন্তু দেখি এখন আবার পর্বতেতেও ভাগে। মাথায় ছিল গরম আগুন, অসহ্য তাপ ভরে, এখন দেখি বোলতা- ভ্রমর গুঞ্জনিয়ে, পাখা ভনভনিয়ে ঘোরে। বুকের মাঝে অনলতাপে হৃদয় হত দগ্ধ, এখন আবার তার বদলে অসম্ভবের চক্র ঘোরে, হলাম আমি মুগ্ধ। কোমর পিঠে বড্ড ব্যাথা, বাতের মতো ছিল সেথা, এখন আবার একি হোলো, নীচ থেকে যে কারেন্ট ওঠে, লাগে ভালোই, কেন মিথ্যে বলি হেথা ? ঘাড় ঘোরাতে হতাম নাকাল এক্কেবারে সন্ধ্যে-সকাল, ঘাড়ের পিছে, মেঘের মাঝে, বিদ্যুতে যে ঝলকি মারে, কেমনতরো এলো আকাল ? জ্বলতো আগে এই দুটি চোখ, সকাল, সন্ধ্যে, দুফুরবেলা। টান পড়তো ভুরুর মাঝে, আজ্ঞা যেথা বিরাজ করে, লাগতো ব্যাথা ত্রিনয়নে। এখন দেখি তার বদলে, চক্র ঘোরে সুদর্শনের, নয়নগতি মণ্ডলাকার, আঁধার ঘুমের, শক্তি-গহ্বরে। কোমর পিঠে, ঘাড় বুকেতে, কব্জি চেটোয় ভুরুর মাঝে, দন্ধ হলো অন্ত এবার কাজের শেষে, গোধূলি সাঁঝে। বলব কি আর ভদ্রলোকে, প্রবলবেগে এসব বাড়ে, নেশার মতো প্রতিদিনে, নেশা ছাড়াই মাদকতা, প্রগলভতা অহং বিনে। ভাবছি আমি এখনই যদি, টলতে থাকি ভারসাম্য ছাড়াই, কি হবে যে চিরন্তনে, ভাবতে আমার ভয়টি লাগে। গুনীজনরা শোনো একটি কথা, কোথাও তুমি না পাও সেটা, বৈখরী তে এসব কথা, মাধ্যাকর্ষণ ভেলকি দেখায়, চৈতন্যের রাজকোষ যে এটা। শিব এতদিন এটার তরে বসেছিল চুপটি করে, শিবোহমে কমতি ছিল, তেজের ছটাক শক্তি ছেড়ে। কে যে হলো শিব-শক্তির মুক্তিদাতা, কেউ জানে না এসব কথা, বলির পাঁঠা নিজেই হল, হয় মূর্খ বোকা, না হয় দুর্দান্ত সাহসী হোতা। অনুভূতির গোপন সুরে এখন, নাচে চৈতন্য ঘুমের নিভৃতিতে, অন্তঃপুরের শান্তিপুরে, ঘুমের দেশের স্বপ্নগুলো, যে কথার রূপ ধূসর ছিল, রামধনুতে রঙ্গিন হল মা প্রকৃতির আশীর্বাদে। ধর্মের কল ধন্য বরে, এখন সেটা বাতাসে নড়ে। প্রাণটা এখন চেঁচিয়ে বলে, বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের গল্পগুলি পড়েছ তো বিজ্ঞানেতে, এবার তুমি মিলিয়ে দেখ, তোমার পিণ্ডে যাহা, তাই অন্তবিহীন ব্রহ্মাণ্ডেতে। এতো সবে কলির সন্ধ্যে হল, আমার কথা মিলিয়ে নিও, যখন কালের স্রোতে এগিয়ে যাবে, দেখবে আরো কত রহস্য অনন্তেরো বাইরে আছে, তোমার ভিতর যাহা মেলে, না মেলে তাহা কালের শেষে। পাওনা যত হিসেব তত, কান্না হাঁসির সম্মিলনে, যাহার মাঝে এসব ঘটে সেই বোঝে, আর কেউ না জানে। মন্দ-ভালোর গল্পটা যে দৃষ্টিকোনের উপর ভাসে, প্রেমের মধু যে খেয়েছে তারাই শুধু ভীষণ হাঁসে। যদি প্রশ্ন করো হাঁসছে কেন, উত্তরটা জানা ভালো, এক সময়ে চোখের জলে, বুকের পাঁজর ছিন্ন করে, বহু অন্তকালে শহীদ হয়ে, মায়ের শোকের আর্তনাদে, ভালোবাসার ভার্যাটিকে নয়ন জলে সিক্ত করে, আত্মবলির কাঁটার মুকুট সে পরেছে, তাই হয়েছে জ্যোতির আলো। একটা ফারাক আছে বৈকি, সেটা শুধু তুমিই জানো, সে মন্দ আর তুমি ভালো ? তোমরা যাদের দয়ার শরীর, অর্থ পোড়ে বিলাসিতায়, পুড়ছে যাদের আত্মা-শরীর, ফারাকটাকি তোদের সাথে, ন্যায় কি তাদের বাহুল্যতায় ? কালের করাল করে ধরবে যখন মুন্ডুটাকে চেপে ধরে, তোদের বদমাইশি খতম হবে, অঙ্ক কষতে হবে তখন কত ধানে আর কত চালে। অনন্তটাও কম পড়বে তোদের শাস্তি-মেয়াদ বিচারকালে। একটা শুধু প্রশ্ন জাগে, এই জীবনের গোলকধাঁধায় আমার কি আর করার আছে ? সবার প্রাপ্তি যখন মিটেই গেল, এবার হল্লা রাজা ছুটি পেলো। ছুটির দেশটা কেমন হবে ছিল না জানা হল্লা রাজার। ভূতের রাজার বরের তরে সে খুঁজেছে বিশ্ববাজার। ক্লান্ত এখন,আর পারেনা ভূতের ব্যাগার টানতে বোঝা, ভূতের রাজার বর কি জিনিস জানতে পারা অতই সোজা ? ওপার হতে ডাক দিয়েছে ভূতের রাজা এইটি বলে, এবার আমার রাজত্বটা আনবো হল্লা রাজার পায়ের তলে। স্বপ্ন সবার পূরণ হবে যারা ভূতের রাজার কদর করে, ভূতের রাজা, হল্লা রাজা, এক আধারে প্রবেশ করে। নাইকো প্রভেদ দুজনাতে, এক যে বাবা, এক যে ছেলে, বাবা, ছেলেতে একই যখন, জমবে মজা পাপিষ্ঠরা বিনাশ হলে। চিরন্তনের দরজা যখন খুলে গেছে চিচিং ফাঁকে, আর কেন ভয় ভূতের পালের, সব ইচ্ছাপূরণ হল বলে। যেখান খুশি যেতে পারো কেউ দেবে না আড়ি, যত খুশি খেতে পারো, পয়সা লাগবেনা ভারী। কাপড় জামা রং বেরঙের, বউ আসবে ঘরে, ঘটের লক্ষ্মী ফিরবে ঘটেই, আসবে ঘটা করে। আনন্দতে মজবে জগৎ দুঃক্ষ অবসান, আরো যদি চাও রে ভুতে তাও হবে যে পূরণ। রোগভোগান্তি উধাও হবে, যৌবনটি ফিরে পাবে, বাদ্যিদেরো ছুটি হবে। কোর্ট আদালত বন্ধ হবে, সমাজ নিষ্কলঙ্ক হবে, আসলো মহাকাল সবে, মহাকালীর আগমন ভবে । ---- Dr. Bibhash Chakravorty.